দেশের জাতীয় দৈনিককে দেওয়া মন্তব্যে বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের ব্যাপারে ইমিগ্রেশন বিভাগকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা গ্রহণও করা হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে এটি সাময়িক, অভিযোগ প্রমাণিত না হলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।’
ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহের তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হিসাবে সর্বোচ্চ ১২ জন ক্রিকেটার খেলছেন দুর্বার রাজশাহী এবং ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে। এর বাইরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ৬ এবং চিটাগাং কিংসের ২ ক্রিকেটারকেও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সন্দেহজনক পারফরম্যান্সের তালিকায় আছে ৮টি ম্যাচ– ফরচুন বরিশাল-দুর্বার রাজশাহী (৬ জানুয়ারি), রংপুর রাইডার্স-ঢাকা ক্যাপিটালস (৭ জানুয়ারি), ঢাকা-সিলেট স্ট্রাইকার্স (১০ জানুয়ারি), রাজশাহী-ঢাকা (১২ জানুয়ারি), চিটাগাং কিংস-সিলেট (১৩ জানুয়ারি), বরিশাল-খুলনা টাইগার্স (২২ জানুয়ারি) ও চিটাগাং-সিলেট (দুই ম্যাচ)
এই বিষয়ে তদন্ত করছে বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (অ্যাকু)। তদন্ত চলমান থাকায় এই মুহূর্তে ফিক্সিং ইস্যুতে মন্তব্য করতে অনাগ্রহ দেখিয়ে ফারুক বলেছেন, ‘তদন্ত এখনও চলমান থাকায় আমাদের কিছু প্রোটোকল মেনে চলতে হয়। সে কারণে আমি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে পারব না। পুরো তালিকা এবং যেসব ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেসব আমাদের নজরে আছে এবং সেসব নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।’
কঠিন শাস্তির হুমকি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘যদি তদন্তে কোনো কিছু (প্রমাণ) বেরিয়ে আসে, এরপর যে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে সবাই জানেন। আমি যদি সেরকম কিছু পাই, তাদের জীবন কঠিন করে তুলব, আমি কারও অপরাধের ছাড় দেবো না। সিদ্ধান্ত একটাই আসবে এবং সেটি সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। সেটি হবে দৃষ্টান্তমূলক।’
প্রসঙ্গত, এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া রাখা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে দুর্বার রাজশাহী। নির্ধারিত সময়ে পারিশ্রমিক না পাওয়ায় ক্রিকেটাররা একদিন অনুশীলনও বয়কট করেন। এরই মাঝে বিজয়কে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে সেই দায়িত্ব দেয় রাজশাহী। পরবর্তীতে আসে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিসহ আরও বেশ কয়েকটি দলের ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে সন্দেহজনক পারফরম্যান্সের অভিযোগ।