পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) সাবেক এমডি এ কে এম শামীম ও অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ব্যাংক থেকে ৭১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম সহিদুর রহমান বাদি হয়ে মামলাটি করেন। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আসামিরা হলেন- সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক বা বর্তমান পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক নির্বাহী/অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ব্যাংকটির এফডিপি মৃণাল মজুমদার, ওই ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার সাবেক এসভিপি ও হেড অব ব্রাঞ্চ শওকত ওসমান চৌধুরী, সাবেক ম্যানেজার অপারেশন মো. আনোয়ার হোসেন, মেসার্স সাহেদ শিপ ব্রেকিংয়ের মালিক মো. সাহেদ মিয়া, সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা আবুল কালাম (ওরফে আবুল কালাম হাবিব) ও ন্যাশনাল সার্ভে বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডি মো. মাজেদুল ইসলাম।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকের ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা যা সুদ আসলে ৭১ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মাহবুবুল হক চিশতীর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন মামলা করেছে দুদক। এর মধ্যে গত ৩০ অক্টোবর ফারমার্স ব্যাংকের ১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ওরফে বাবুল চিশতী ও তার ছেলে রাশেদুল হক চিশতীকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আর অনেকগুলো বিচারকাজ চলমান রয়েছে।