দেশের একমাত্র কোম্পানি হিসেবে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যুগান্তকারী ওষুধ ফাইজারের জেনেরিক সংস্করণ উৎপাদন করার সাব-লাইসেন্স পেলো বেক্সিমকো ফার্মা। জাতিসংঘ সমর্থিত সংস্থা মেডিসিন প্যাটেন্ট পুল (এমপিপি)-এর পক্ষ থেকে সাব-লাইসেন্স পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফাইজার বর্তমানে নির্মাট্রেলভির এবং রিটোনাভিরের সংমিশ্রণ প্যাক্সলোভিড ব্র্যান্ডের অধীনে উপলব্ধ রয়েছে।
নির্মাট্রেলভির সারস-কোভ-২ এর প্রতিলিপির জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইমকে বাধা দেয় এবং রিটোনাভির হলো একটি শক্তিশালী সাইটোক্রোম পি৪৫০ (সিওয়াইপি) ৩এ৪ ইনহিবিটর যা নির্মাট্রেলভিরের জন্য ফার্মাকোকিনেটিক বুস্টিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশু রোগীদের (১২ বছর বা তার বেশি বয়সী) মৃদু থেকে মাঝারি কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য গত ডিসেম্বর ২০২১ সালে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন। এই অ্যান্টিভাইরাল সংমিশ্রণটি বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দিতে ফাইজার এবং এমপিপি’র মধ্যে স্বাক্ষরিত লাইসেন্সিং চুক্তির অধীনে সাব-লাইসেন্সটি প্রদান করা হয়েছে। চুক্তির অধীনে, সফল প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে উৎপাদনের অনুমোদনের পর বাংলাদেশে এই ওষুধটি তৈরি করবে বেক্সিমকো ফার্মা।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বেক্সিমকো ফার্মাকে এমএসডি এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স দ্বারা তৈরি আরেকটি কোভিড-১৯ ওষুধ মলনুপিরাভির তৈরি করার সাব-লাইসেন্স প্রদান করে এমপিপি। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি বলেন, গত জানুয়ারি মাসে মলনুপিরাভির উৎপাদনের জন্য প্রাপ্ত লাইসেন্সের ধারাবাহিকতায় এমপিপি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যুগান্তকারী ওষুধ ফাইজারের জেনেরিক সংস্করণ উৎপাদনে বেক্সিমকো ফার্মাকে সাব-লাইসেন্স প্রদান করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যা এমপিপি’র সহযোগিতায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সাশ্রয়ী মূল্যে বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রদান আমাদের প্রতিশ্রুতির এবং উচ্চমানের জেনেরিক ওষুধের প্রস্তুতকারক হিসেবে আমাদের শক্তিমত্তার প্রতিফলন।।