আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্র প্রান্ত মিত্রের (২৩) হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এই সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা না হলে পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। প্রান্ত মিত্রের হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি সুকেশ সাহা ও সরূপ প্রকাশ অধিকারী, সাংগঠনিক সম্পাদক অজয় রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাপন রাহুত, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি কিংকর মিত্র, সাধারণ সম্পাদক চিরঞ্জিত রায়, শহর কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর্মকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মেধাবী ছাত্র প্রান্ত মিত্রের হত্যাকাণ্ডের দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে আরও কঠোর আন্দোলনে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, হঠাৎ করেই শান্ত ফরিদপুরে একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কারা সম্পৃক্ত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে। আমরা চাই ফরিদপুরবাসী সকলে মিলে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের পরিবেশ তৈরি করবে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বন্ধুর বোনকে রক্ত দিতে রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে শহরের ওয়ারলেস পাড়া এলাকার বাড়ি থেকে ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে যাওয়ার পথে আলীপুর সেতুর উত্তর প্রান্তে বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় প্রান্তকে। প্রান্ত মিত্র শহরের ওয়ারলেস পাড়ায় বাবা মার সঙ্গে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাবার নাম বিকাশ মিত্র। তিনি শহরের হাউজিং আবাসিক এলাকায় দীপ শিখা স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে প্রান্তের পরিবারের সদস্যদের হাতে মৃতদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার বিকেলে শহরের অম্বিকাপুর মহা শ্মশানে প্রান্তের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।