ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গাদিয়া গ্রামবাসিসহ বিভিন্ন পর্যটকগ্ণ ফরিদপুরে কর্কটক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা মিলনকেন্দ্রবিন্দু এলাকাতে “আন্তর্জাতিক ভৌগলিক গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র” ও ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
২১ জুন উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে বড় দিন ও ছোট রাত। উত্তর গোলার্ধের দেশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দিন ও ছোট রাত।
পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত তিনটি রেখা কল্পনা করা হয়। সেগুলো হলো: কর্কটক্রান্তি, মকরক্রান্তি ও বিষুবরেখা। ঠিক তেমন উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত রেখা আছে চারটি। সেগুলো হলো: শূন্য ডিগ্রি, ৯০ ডিগ্রি, ১৮০ ডিগ্রি এবং ২৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা।
চারটি উত্তর-দক্ষিণ রেখা এবং তিনটি পূর্ব-পশ্চিম রেখা-সব মিলিয়ে ১২ জায়গায় ছেদ করেছে।
এই ১২টি বিন্দু হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিন্দু। ১২টি বিন্দুর ১০টি বিন্দুই পড়েছে সাগরে-মহাসাগরে। তাই মানুষ সেখানে যেতে পারে না। একটি পড়েছে সাহারা মরুভূমিতে, সেখানেও মানুষ যায় না। শুধু একটি বিন্দু পড়েছে সমতল মাটিতে, যেখানে মানুষ যেতে পারে। আর সেই বিন্দুটিই পড়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গাদিয়া গ্রামের কৃষি জমিতে।
নাট্যব্যক্তিত্ব ও শিক্ষানুরাগী এডভোকেট লুৎফুল আহসান বাবু’র সভাপতিত্বে কবি সৈয়দ নাজমুল আহসান সঞ্চালনায় ফরিদপুর ভাঙার ভাঙাদিয়া গ্রামে কর্কটক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা মিলনকেন্দ্রবিন্দু এলাকাতে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন গোলাম মোস্তফা তাপোস, মানবাধিকারকমী রোটারিয়ান এডভোকেট আলেয়া বেগম লাকী, কবি মাসুম আহমেদ রানা, কবি জাহিদুল ইসলাম, টীম লিডার ডাঃ মআআ মুক্তাদীর, কবি ইয়াছমিন আরা শশী, রিয়াদ মাহমুদ খান, রুদ্র প্রমুখ। বক্তারা উপর্যুক্ত এলাকাতে “আন্তর্জাতিক ভৌগলিক গবেষণা ও পর্যটন কেন্দ্র” ও ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গুগল ম্যাপে গিয়ে 23.5N 90E লিখলে সেটি কর্কটক্রান্তি এবং ৯০ ডিগ্রি দ্রাঘিমা কোথায় ছেদ করেছে সেটা দেখিয়ে দেবে। গুগল ম্যাপে খুব সহজেই ছেদবিন্দুটি দেখা যায় ফরিদপুরের কাছে ভাঙ্গায়।