২৩ শর্তে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। সে হিসেবে দুপুর দুইটায় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হলেও তার দুই ঘণ্টা আগে থেকে অনুষ্ঠানস্থলে নেতাকর্মীদের আসার কথা। কিন্তু সেই নিয়ম মানার সুযোগ কোথায়? কারণ কয়েকদিন আগে থেকে ঢাকায় ঢোকা বিএনপি নেতাকর্মীরা অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই যে নয়াপল্টনে আসতে উদগ্রীব ছিলেন। তাই শুক্রবার ফজরের পর থেকেই এই এলাকায় নেতাকর্মী আসতে শুরু করেছেন। সকাল নয়টার মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের দিকের সড়কে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে চলে এসেছেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা ২টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো যুগপৎভাবে এক দফার ঘোষণা দেয়। এই একদফার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান।
এক দফা দাবিতে গত ১৮ ও ১৯ জুলাই সারাদেশে মহানগর ও জেলায় পদযাত্রার পর ঢাকায় এই মহাসমাবেশ করার কথা ছিল বৃহস্পতিবার। সেজন্য নয়াপল্টন অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু পুলিশ তা না দিয়ে গোলাপবাগে সমাবেশ করার পরামর্শ দেয়।
এ পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে বিএনপি ও সমমনা জোটগুলো মহাসমাবেশের তারিখ একদিন পিছিয়ে শুক্রবার করার ঘোষণা দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপিকে ২৩ শর্তে নয়াপল্টনের সামনে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ।
অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেন। শীর্ষ নেতারা বারবার নির্ধারিত সময়ের আগে কার্যালয় এলাকা থেকে চলে যেতে অনুরোধ করলেও তাতে কান দেয়নি নেতাকর্মীরা। অনেকে রাতভর ছিলেন। খিচুড়ি খেয়ে সময় কাটিয়েছেন নয়াপল্টনে।
শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে আসা যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা এসেছে। আশা করি সমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগে নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে।
এদিকে সকালেই নয়াপল্টনে চলে আসা বিভিন্ন অংশ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মঞ্চে উঠে সেলফি তুলে, নিজেদের মধ্যে গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। কেউ আবার ফাঁকে ফাঁকে স্লোগান