ফেসবুকের পরিচয়ের পর যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবির মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাজবাড়ী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রাজবাড়ী পৌরসভার বিনোদপুর এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মাসুদুর রহমান (৪৫), রাজবাড়ী সদর থানার বাগমারা এলাকার হাসান আলীর মেয়ে মোছা. রিমা খাতুন (২৬), কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের আবুল সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫২), রাজবাড়ী পৌরসভার ভবানিপুর এলাকার মৃত বানু মোল্লার ছেলে মো. ফজলুল হক (৫৩) ও সদর উপজেলার লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের মৃত কারী আনোয়ার উল্লাহর ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (৫৯)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি জানায়, রিমা খাতুন ফেসবুকের মাধ্যমে মাহফুজ নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথা বলার জন্য মাসুদুর রহমানের বাসায় ডেকে নেন। সেখানে মাসুদুর রহমান, জামাল সরদার, ফজলুল হক, রিমা খাতুন মাহফুজকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মাহফুজের পরিবারের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করেন। এ ছাড়া এমদাদ হোসেনের মাধ্যমে বিয়ের ভুয়া কাবিননামা এবং নোটারি পাবলিকের হলফনামা তৈরি করে মাহফুজের পরিবারের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ ঘটনা মাহফুজের বাবা শাহজাহান খান রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাজবাড়ী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমাণসহ দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, পাঁচটি মেমোরি কার্ড, ভুয়া কাবিননামার কপি ও বিয়ের হলফনামার কপিসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।