বিকেলে তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের রামানন্দী গ্রামের হাজী মাওলানা ইয়াছিনের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (৩৩), নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের পূর্ব মহোদরী গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আসাদুজ্জামান সায়েম (৩৬), ধর্মপুর ইউনিয়নের চর দরবেশ গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মো. সবুজ (২৪) ও লক্ষ্মীপুর জেলার হাসনাবাদ গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে ওয়াসিমা আফরিন নদী (২৮)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেগমগঞ্জ পৌরসভার আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. ইলিয়াছ ও লক্ষ্মীপুর জেলার হাসনাবাদ গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে ওয়াসিমা আফরিন নদীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। নদী গত ৫ মার্চ ইলিয়াছকে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় আসতে বলে। ইলিয়াছ তার জেলা শহর মাইজদীর একটি বাসায় যাওয়ার জন্য নদীকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় রওয়ানা দেয়। এসময় পথ থেকে মামুন, সায়েম ও সবুজ সিএনজিতে ওঠে। তারা সবাই ইলিয়াছের গলায় ছুরি ধরে চুপ থাকতে বাধ্য করে। তারপর আসামিরা সবাই ইলিয়াছের বাসায় আসে। তারপর তার পকেটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা তাকে মারধর করে জখম করে এবং হুমকি-ধমকি প্রদান করে। আসামি মামুন ভুক্তভোগীর ভাইকে ফোন দিয়ে পুলিশ পরিচয় দেয় এবং জানায় ভুক্তভোগী ইয়াবাসহ হাইওয়ে পুলিশে আটকে আছে। তাকে ছাড়িয়ে নিতে হলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। ভুক্তভোগীর বিকাশ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং অবশিষ্ট টাকার জন্য মারধর করে। পরবর্তীতে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে পুলিশ ইলিয়াছকে উদ্ধার করে এবং মামলা দায়ের করতে বলে। মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক স্পেস ল্যাব চৌধুরী প্রমোজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে সবুজকে গ্রেপ্তার করি। সবুজের থেকে তথ্য নিয়ে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করি এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, অপহরণ চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে নারী সদস্যকে দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলত। তারপর কৌশলে ডেকে নিয়ে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় করত। শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে তাদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।