সিলেট সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
শনিবার (২০ মে) বিকেলে সিলেট রেজিস্ট্রারি মাঠে আয়োজিত সমাবেশে ভোটে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের আদর্শে আমি বিএনপির রাজনীতি শুরু করি। আমার জীবন থাকতে এই দলের ক্ষতি হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। অনেকেই আমাকে উকিল আব্দুস সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি সেই সুযোগ কাউকে দিতে চাই না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে নগরের মানুষজন জানে না। এটা ভোট কারচুপির মহা আয়োজন। অতীতে আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় আপনারা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি সেই সব কথা ভুলতে পারি না।’
মেয়র আরিফুল হক বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমার দল বিএনপি অংশ নেবে না। আমি এই সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালাম। আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের ভাই। আমি মেয়র না থাকলেও আপনাদের পাশে সবসময় থাকব। আমাকে আপনারা ক্ষমা করুন।’
সমাবেশে মেয়র আরিফ নগরবাসীকে ভোট বর্জন করার আহ্বান জানান।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে সিলেট সিটি নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেয় দলটি।
কিন্তু বিএনপি নেতা আরিফুল হক নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে শুরু থেকে গুঞ্জন ওঠে। বিভিন্ন সময়ে আরিফুল হকের বিভিন্ন বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডে এই গুঞ্জন ও নগরবাসীর কৌতূহল বাড়িয়ে দেয়।
নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না সে বিষয়ে জানাতে সমাবেশ ডাকেন আরিফুল হক চৌধুরী। শনিবার আয়োজিত সমাবেশে ভোটে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
এর আগে নানা নাটকীয়তা শেষে আরিফুল হককে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় সিলেট মহানগর পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে সমাবেশস্থলের প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিলেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তর্ক হয় তার। রেজিস্ট্রারি মাঠে প্রবেশ করতে না পেরে গেটের সামনে বসে পড়েন। সেখানে এক ঘণ্টা অবস্থানের পর চলে আসেন। নানা নাটকীয়তার পর শনিবার (২০ মে) রেজিস্ট্রারি মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি পান মেয়র আরিফুল। অনুমতি পেয়েই রেজিস্ট্রারি মাঠের ভেতরে প্রবেশ করেন।