অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মে মাস পর্যন্ত আগের বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এ ঋণ পরিশোধের হার ছিল ৩০৬ কোটি ৮১ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ঋণ পরিশোধের হার বেড়েছে ২৩ শতাংশের বেশি।
চলতি বছরের ১১ মাসের প্রাপ্ত ঋণ ছিল ৫৬০ কোটি ৮১ লাখ ডলার। বিপরীতে পরিশোধিত ঋণের পরিমাণ ৩৭৮ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের বেশি। অর্থাৎ এ সময়ে প্রাপ্ত ঋণের ৬৭ ভাগই চলে গেছে আগের ঋণ পরিশোধে।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় বাড়ায়। তাছাড়া উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তায়ও বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে ঋণ পরিশোধের চাপ কিছুটা মিটেছে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের দুর্বলতার কারণে উন্নয়ন সহেযাগীদের প্রতিশ্রুত বিদেশি ঋণের অর্থছাড় সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে আগামী অর্থবছরের বাজেটেও বিদেশি ঋণের চাহিদা কমিয়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকায় নামানো হয়েছে। এটি চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ছিল ১ লাখ কোটি টাকা।
ইআরডির মে মাসের তথ্যে দেখা যায়, উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ প্রতিশ্রুতিও কমিয়ে দিয়েছে। মে মাস পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ প্রতিশ্রুতি এসেছে ৫৪৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। আগের বছরের একই সময়ে ঋণ প্রতিশ্রুতির পরিমাণ ছিল ৭৯২ কোটি ৮৬ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে প্রায় ৩১ শতাংশ।