সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। চার বিষয়ে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বৃত্তি পরীক্ষার মানবণ্টনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত মানবণ্টনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ৪টি বিষয়ে (বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান) মোট ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ২৫ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। প্রতি বিষয়ে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে, যার প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর। প্রতি প্রশ্নের চারটি অপশনের মধ্যে সঠিক উত্তরটিতে টিক চিহ্ন দিতে হবে। সঠিক উত্তর নির্বাচনে একাধিক অপশনে টিক চিহ্ন দেওয়া যাবে না। একাধিক অপশনে টিক চিহ্ন দেওয়া হলে ওই প্রশ্নের উত্তরের জন্য নির্ধারিত নম্বর দেওয়া হবে না।
এছাড়া প্রত্যেকটি বিষয়ের জন্য আলাদা নির্দেশনাও দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-
বাংলা: বাংলা বিষয়ে দুটি অনুচ্ছেদ দেওয়া থাকবে। দুটি অনুচ্ছেদ থেকে ৪টি করে ৮টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে এবং ৭টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন সমগ্র পাঠ্যপুস্তক হতে থাকবে। একটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে যার নম্বর ১০।
গণিত: গণিত বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক হতে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। দুটি সমস্যা সমাধানমূলক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটির মান ৫ নম্বর করে মোট ১০ নম্বর।
ইংরেজি: ইংরেজি বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক হতে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। একটি বিষয়ে অনুচ্ছেদ লিখতে হবে। যার মান ১০ নম্বর।
প্রাথমিক বিজ্ঞান: প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে সমগ্র পাঠ্যপুস্তক হতে ১৫টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে। দুটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটির মান ৫ নম্বর করে মোট ১০ নম্বর।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চালুর পর নম্বরের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া শুরু হয়। করোনার কারণে গত ২ বছর পিইসি পরীক্ষা হয়নি। সেইসঙ্গে এই পরীক্ষা তুলে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে চলতি বছর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা আবার শুরু হলো।