১৩ বছর পর প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা হয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা হয়। এতে ছয় লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বৃত্তি পাচ্ছে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি দেওয়া হবে।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসিক ২২৫ টাকা করে পাবেন। আগামী ২৫-২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বৃত্তির ফলাফল প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির ক্ষেত্রে উপজেলাভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ ছাত্র ও ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের মধ্যে জেন্ডারভিত্তিক মেধা অনুসারে দেওয়া হবে। সাধারণ গ্রেডে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক তিনজন ছাত্রী হিসেবে ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, বৃত্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে চারটি বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হয়। প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বর ছিল। বহুনির্বাচনী ও লিখিত দুই পদ্ধতিতে উত্তর দিতে হয়েছে। এজন্য সময় ছিল দুই ঘণ্টা। এরমধ্যে ৪০ শতাংশ লিখিত ও ৬০ শতাংশ এমসিকিউ ছিল। বৃত্তি পরীক্ষায় সারাদেশে পাঁচ লাখ ৩৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই করতে বৃত্তি চালু করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী- সারাদেশে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। আগামী ২৫-২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এরইমধ্যে খাতা মূল্যায়ন কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু ফলাফল তৈরি করা বাকি রয়েছে।