গত ডিসেম্বরেই অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড থেকে এসব পিচ চলে যায় ফ্লোরিডায়। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ওভাল মাঠের পিচ প্রস্তুতকারক দলটিই কাজ করেছে এই পিচ তৈরিতে। যাদের প্রধান হিসেবে ছিলেন সেখানকার পিচ কিউরেটর ড্যামিয়েন হগ। তাদেরই তত্ত্বাবধানে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বসেছে এই পিচগুলো।
আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমেরিকার নিজস্ব তাহুমা ৩১ বারমুডা ঘাসে তৈরি করা হয়েছে এসব পিচ। সেই তথ্য অনুযায়ী, এই পিচে তাই বাড়তি কিছু সুইং আশা করতেই পারেন বোলাররা। এই মাঠেই বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। একইসঙ্গে ভারত এবং পাকিস্তানের বহুল প্রতিক্ষীত ম্যাচও হবে এখানে।
জুনের ৩ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যেকার ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হবে এই মাঠের। বিশ্বকাপের ২০ দলের মাঝে ৯ দলই এই পিচে খেলবে। মোট ১০টি পিচ পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ৪টি বসবে মাঠের মাঝে। বাকি ৬টি পিচ পাঠানো হবে আশেপাশের মাঠে প্র্যাকটিসের জন্য।
লম্বা পরিবহন যাত্রার পর এসব পিচ বসাতে পেরে খুশি প্রধান কিউরেটর ড্যামিয়েন হগ, ‘আমরা অত্যন্ত খুশি। সবকিছুই পরিকল্পনামাফিক এগুচ্ছে। পিচগুলো দারুণ অবস্থায় আছে। আর আমাদের সব লক্ষ্যমাত্রা এবং পরিকল্পনা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠে বিশ্বকাপের মোট ৮ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মোট নয় দল খেলবে নিউইয়র্কের সদ্য প্রস্তুত এই পিচে। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ছাড়াও এখানে খেলবে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, আয়ারল্যান্ড, কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস।