ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনের মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দলটি তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র সামনে রেখে নিজেদের সম্মেলন মঞ্চ সাজিয়েছে। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে আগামীর লক্ষ্যও।
আগামী শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন। ইতোমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এবং ডেলিগেটের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চায় দলটি।
কৃচ্ছসাধনের লক্ষ্যে নিজেদের সম্মেলন ব্যয় ৩০ লাখ টাকা কমিয়েছে ক্ষমতাসীন দল। যতটুকু না হলেই না, সেটুকু জাঁকজমক করা হবে এবারের সম্মেলনে। ব্যয় হচ্ছে তিন কোটি ১৩ লাখ টাকা। প্রতিবার আওয়ামী লীগের সম্মেলন দুই দিনব্যাপী হলেও এবার তা হবে একদিন।
সম্মেলনস্থল ঘুরে দেখা যায়, কালো রঙের নৌকার আদলে গড়ে তোলা হয়েছে আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন মঞ্চ। মঞ্চের পেছনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা সেতুর প্রতিকৃতি। আর সেতুর উপর স্থাপন করা হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁধা স্মৃতিস্তম্ভ স্মৃতিসৌধ।
মঞ্চের ঠিক সামনে স্থাপন করা হয়েছে সাতটি ফেস্টুন। যার ছয়টিতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এসব ফেস্টুনে তুলে ধরা হয়েছে- তরুণ প্রজন্মের মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পদ্মা সেতু ও মহাসড়ক।
এর ঠিক মাঝখানেই স্থাপন করা হয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশের ফেস্টুন। লাল-সবুজের ফেস্টুনে লেখা হয়েছে- ‘আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’ এরপরের সম্মেলনে আগত অতিথিদের বসার আসন বিন্যাস করা হয়েছে।
এছাড়া সম্মেলনস্থলের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ছবি।
আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার আদলে জায়গায় জায়গায় স্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন ফেস্টুন। যেখানে লেখা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির নানা উক্তি।
সম্মেলনের প্রস্তুতি সারতে ১১টি উপকমিটি গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কমিটিগুলো।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানমসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাদের অনেকেই।
ওবায়দুল কাদের জানান, এবারের সম্মেলনে নেতাকর্মীদের ঢল নামবে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজধানীতে আসতে শুরু করেছেন।
আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে কিছু নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। সভাপতি পদে এবারও পরিবর্তন আসছে না। বিষয়টি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজেই নিশ্চিত করেছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই কম। অন্যান্য পদে কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে।