বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ড চাঁদমারী মাদ্রাসা সড়কে এমন ঘটনা ঘটে। তবে ৯ মার্চ ইতালি রাষ্ট্রদূতের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় বিষয়টি আলোচনায় আসে।
অভিযোগকারী মাজিদা বেগম বলেন, ‘আমার মেয়ে ও মেয়ের জামাতা নিজাম উদ্দিন ইতালি প্রবাসী। বরিশালের চাঁদমারি মাদ্রাসা সড়কের পাশে তাদের একতলা বাড়ি আছে। তারা বিদেশে থাকায় আমাকে বাড়ি দেখভালের জন্য এখানে রেখে যায়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম তরিক এক-দেড়শ লোকসহ মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে এসে আমাকে বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেন। তারা গালাগালি করে আমাকে মারধরে উদ্যত হন। এরপর তাদের ভয়ে আমি বাড়ি ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। পরবর্তীতে বাড়ির মালামাল লুটপাট করে বাড়িটি দখল করে নেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার আইনি পদক্ষেপ নিতে থানায় গেলে থানা থেকে কোনো সহায়তা পাইনি। উলটো সেখানে গিয়ে দেখি তারিকুল ইসলাম তরিকসহ তার সহযোগীরা থানায় বসে আছেন। তারা আমাকে বলেছেন “থানা তাদের কিছু করবে না”।,
তিনি জানিয়েছেন, বাড়ি দখলের বিষয়ে তার মেয়ের জামাতা ইতালি রাষ্ট্রদূতের দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
ইতালি থেকে ভিডিও কলে নিজাম উদ্দিন জানান, পৈত্রিক সম্পত্তির আমার একক অংশে ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে চারতলা বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাস করিয়ে একতলার এক ইউনিট কমপ্লিট করে বাবা, মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। আমার মা-বাবা মারা যাওয়ার পরে স্ত্রী সন্তানও ইতালীতে নিয়ে আসি। খালি বাড়িতে আমার শ্বাশুড়ি ও এক পরিবার ভাড়াটিয়া ছিল। ছাত্রদল নেতা তরিক আমার পৈত্রিক বাড়িকে নির্মিত বাড়ি তার বোনের জামাতা জসীম উদ্দিনকে দখল করে দিয়েছেন। তিনি লোকজন নিয়ে এসে আমার শ্বাশুড়িকে গালিগালাজ ও ঘরে লুটপাট করে নামিয়ে দেন। আমি এ ঘটনায় ইতালি রাষ্ট্রদূতের দফতরে অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা তারিকুল ইসলাম তরিক বলেন, বাড়িটি নিয়ে দুই ভাই জসিম উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিনের মধ্যে বিরোধ। তারা উভয়েই আমার আত্মীয়। এতদিন পুরো বাড়ি নিজাম উদ্দিন ব্যবহার করতেন। এখন সেখানে জসীম উদ্দিন উঠেছেন। এই ঘটনায় আমি সম্পৃক্ত না। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, আমি যতদূর জেনেছি বাড়ি দখলের কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। পুরো বাড়ি দখল করে একজন ছিল, এখন সেখানে আরেকজন উঠেছে।