নির্দেশনায় বলা হয়, অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র ফরম-২(ক), মেয়াদযুক্ত বাংলাদেশি পাসপোর্ট, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
এছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আরও কিছু তথ্য দিতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে—নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা করা ৫৬টি উপজেলার (চট্টগ্রাম অঞ্চল) নাগরিকদের জন্য ‘বিশেষ তথ্য ফরম’, শিক্ষা সনদ (এসএসসি, জেএসসি, পিএসসি বা সমমান) বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মৃত হলে মৃত্যু সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা টিআইএন (প্রয়োজনে), কিছু দেশের ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ (প্রয়োজনে), নিকাহনামা (বিবাহের সনদ) ও স্বামী-স্ত্রীর এনআইডি (প্রয়োজনে), কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান বা মেয়র বা সিইও কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদ, ইউটিলিটি বিলের কপি (ভোটার এলাকার ঠিকানার বিদ্যুৎ বা পানি বা গ্যাস বিল), ভাড়াটিয়া হলে বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র ও বাড়িওয়ালার অনাপত্তিপত্র।
যেসব তথ্য বাধ্যতামূলক নয়, সেগুলো নিবন্ধন কেন্দ্রে জমা দিতে না পারলে প্রবাসী নাগরিকের দেশে বসবাসকারী আত্মীয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া যাবে। বর্তমানে নয়টি দেশে প্রায় অর্ধ লাখ প্রবাসী ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, মালয়েশিয়া, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম চালাচ্ছে ইসি। এক্ষেত্রে প্রবাসীরা অনলাইনে আবেদন করে দূতাবাসে এসে ছবি তুলে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন। ভবিষ্যতে আরও ৪০টি দেশে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।