বিচারক হিসেবে আজ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) অবসরে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তার মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে। তবে অবকাশকালীন বন্ধ ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যার ফলে আনুষ্ঠানিক বিচারক হিসেবে অবসরে যাচ্ছেন আজ। এর আগে দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১৮ সালে নিয়োগ পান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বিএসসি ডিগ্রি পাওয়ার পর বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এলএলবি সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৮১ সালে জেলা জজ আদালতে ও ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাডভোকেট হিসেবে তিনি অন্তর্ভুক্ত হন।
এরপর ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। পরে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০০১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিনি একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। পরে ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দু’বার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন। সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করিবেন।’ উল্লেখ্য, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করলে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরবর্তী সময়ে বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির পদে থাকাকালীন প্রধান বিচারপতি হিসাবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নিয়োগ চূড়ান্ত করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এ নিয়োগের দিন (২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন বিচারপতি মো. আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা। বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞার তখন চাকরির মেয়াদ ছিল আরও ১০ মাস।