জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্রের সংগ্রামের পথ ধরে দেশকে উন্নয়নের সোপানে তুলে এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র ও গণমানুষের সমর্থনের প্রতি অগাধ বিশ্বাসই প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশ্বের কাছে ‘বিস্ময়’ হয়ে ধরা দিয়েছে। এ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। বাংলাদেশ পরিচিত ছিল বন্যাকবলিত, দারিদ্র্যপীড়িত দেশ হিসেবে। সেই দেশই এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তার অসহনীয় সংগ্রামের সেই কাহিনী আজকের প্রজন্ম জানে না। তরুণ প্রজন্মকে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা যেমন জানাতে হবে, পাশাপাশি স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সেই কাহিনীও নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার এ সব কথা বলেন। আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। তার জন্মদিন উদ্যাপনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গত ১২ বছরে তার অবদান ও অর্জন নিয়ে বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। বনানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের শেরাটন ঢাকা হোটেলে শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ: উন্নয়নের এক যুগ’ শীর্ষক তিন দিনের এ প্রদর্শনী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্পিকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, শেখ হাসিনার সামগ্রিক জীবন হচ্ছে সংগ্রাম ও দেশ গড়ার ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্য করার পর শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দলকে পুনর্গঠন ও ক্ষমতায় এসে দেশকে উন্নয়নের নবযাত্রার সূচনা করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন বলেন, কানাডা এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। বাংলাদেশকে কানাডা সব সময় বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে মনে করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আশা করি আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে আরো এগিয়ে যাব। প্রদর্শনীটি মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। আর প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।