রংপুরের প্রাণকেন্দ্র শহরের জিলা স্কুল মাঠে আজ বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি। এতে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লাখ লাখ লোকের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দিনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফাইনাল পরীক্ষা পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শহরের পরীক্ষার্থীরা।
বুধবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ, কারিগরি টেকনিক্যাল কলেজ ও মাদরাসা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং রংপুর শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষায় অংশ নেবেন শিক্ষার্থীরা।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে রংপুরে বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যা কয়েক লাখে পরিণত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, যথা নিয়মেই পরীক্ষা শুরু হবে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
রংপুর শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা কলেজের কাছাকাছি থাকি, তারা সময়মত পরীক্ষা দিতে পারব। কিন্তু যারা দূরে থাকে তাদের জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। যথাসময়ে আসতে পারবে না। কারণ শহরে অনেক লোকের সমাগম হওয়ার যানবাহন ঠিকভাবে চলাচল করতে পারবে না। ফলে যথাসময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে পারবে না। এজন্য তারা অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছে।
রংপুর কারমাইকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোজাইন বলেন, ফাইনাল পরীক্ষার বিষয়গুলো আমাদের হাতে নেই। এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে। রংপুরের সমাবেশের বিষয়টি নিয়ে প্রিন্সিপাল স্যার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করেছিলেন। তারা জানিয়েছেন, দুই একটি পরীক্ষা সেন্টারের জন্য সারাদেশের পরীক্ষা পেছানো সম্ভব না। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের বলে দিয়েছি- লোক সমাগমের বিষয়টি মাথায় রেখে তারা যেন আগেই পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বের হয়ে যায়।
এ বিষয়ে কথা হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম বলেন, রংপুরের ওইসব পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রিন্সিপালরা আমাদের এখন পর্যন্ত কিছু জানাননি। বিষয়টি নিয়ে কিছু জানালে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো পরিবর্তন করে দেওয়া যেত।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হোসেন বলেন, সমাবেশের কারণে পরীক্ষার কোনো সমস্যা হবে না। পরীক্ষাকেন্দ্রে যথাসময়ে প্রশ্নপত্র পৌঁছে যাবে। পরীক্ষা পরীক্ষার মতোই চলবে। পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসবেন।