আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা শোনেন না বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিন আগে ঘোষণা দিলেন রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়া হবে না এবং কোনো বাধা যেন দেওয়া না হয়। কিন্তু এ কথার পর দিন আমাদের স্থায়ী কমিটির নেতা খন্দকার মোশাররফের বাড়িতে হামলা করা হলো। দেশের ১০-১২ জায়গায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বলার পরও কীভাবে হামলা করা হলো? প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ-আদেশ এবং অনুরোধের পরে এসব হামলা হলো। অর্থাৎ আজ দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা চোর-ডাকাত কেউ প্রধানমন্ত্রীর কথা শোনেন না।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা আব্বাস বলেন, যেখানে হামলা হয়েছে সেখানে প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। এখন প্রতিঘাত করতে হবে। মোশাররফের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা উত্তম-মধ্যম খেয়ে সেখান থেকে ফিরে আসছে। সময় এসে গেছে এখন আর আমরা মিটিং-মিছিল করার জন্য অনুমতি নেব না।
আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা তালেবানদের মতো হবে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, আমি শ্রীলঙ্কার মতো বলব না, তবে আওয়ামী লীগ সরকারের অবস্থা তালেবানদের মতো হতে পারে। সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থে তেলের দাম বাড়াচ্ছে। এ টাকা কার পকেটে, কোথায় পাচার হয় বলতে হবে। আমরা ভবিষ্যতে তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেবো না।
শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কোনো আসন ভাগাভাগির নির্বাচনও এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।
নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষোভ
বক্তব্য চলাকালে স্লোগান ও কথা না বলতে অনুরোধ করার পরও তা না মানায় দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, এতক্ষণ যারা স্লোগান দিয়েছেন, এখন আর দেবেন না। এরপরও নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর কিছুক্ষণ থেমে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন তিনি।
বক্তব্যের মাঝ পথে আবার নেতাকর্মীরা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলা শুরু করলে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে উত্তেজিত হয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, এই ভাই রাখো না, তোমরা কী শুরু করলে?
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ভিপি জয়নাল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।