মহানগরকে নান্দনিক রূপে সাজাতে কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। জানা যায়, আগামী ৪ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে চট্টগ্রামে আসছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাছাড়া, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় জেলায় সফরের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঐদিনই চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যোগ দেবেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে ও নির্বাচনমূখী প্রচারণায় নামাতেই এই উদ্যোগ।
দলীয় সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিনত করার লক্ষ্য নিয়ে গত ৯নভেম্বর স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে যৌথ বর্ধিত সভা করেছে চট্টগ্রাম দক্ষিন ও উত্তর জেলাসহ মহানগর আওয়ামী লীগ। নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে ইতিমধ্যেই নগরীতে রঙ্গিন পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ডে সাজাতে শুরু করে দিয়েছে। মেয়রের নির্দেশনায় মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ফ্লাইওভার হতে মরহুম এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের মাঝের অংশটির ল্যাম্প পোস্টে ৭০র নির্বাচনে বিজয় ও স্বাধীনতার প্রতিক নৌকার আকৃতিতে এলইডি বাতি লাগিয়ে আলো ঝলমলে করেছে চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগ।
চসিক মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ ১০বছর পর চট্টগ্রামে কোন জনসভায় ভাষন দিবেন জাতির জনকের কন্যা, উন্নয়নের ম্যাজিকেল উইমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও ব্যঞ্জনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আনন্দের ঢেউ লেগেছে নেতাকর্মীদের মনে মনে। চট্টগ্রাম নগরীর সবুজের মাঝেও নানা রঙের সমাবেশ ঘটাতে কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। বিগত ২০১১সালে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে চট্টগ্রামের টাইগার পাশ এ বাঘের ভাষ্কর্যসহ ক্রিকেটীয় আবহ সৃষ্টি করতে নানান ভাষ্কর্য নির্মিত হয়েছিল, যা চট্টগ্রামের নান্দনিকতাকে আরো বাড়িয়ে তুলে এবং এখনো ভাষ্কর্যগুলো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে রঙ তুলির আঁচড়ে বিবর্ণতা দুর করে নবরূপ পেতে চলেছে এসব ভাষ্কর্য। রঙের পরশ লাগার পূর্বে ভাষ্কর্যগুলোতে জমে ওঠা ময়লা ও অবাঞ্চিত দাগ পরিস্কার করতে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করছে চসিক। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও মহান বিজয় দিবসকে আনন্দঘন করতে এভাবে নগরীর সমস্ত রাস্তাঘাট ও স্থাপত্যশৈলীগুলোকে ডিসেম্বর আসার আগেই ঝকঝকে তকতকে করে তুলবে বলেও জানান তিনি।