চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের উড়িয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতহাসের সঙ্গে সেমিতে হারার দুঃসহ স্মৃতি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই একটি কথাই প্রচলিত হয়ে আছে ক্রিকেট বিশ্বে যে, প্রোটিয়াদের দৌড় সেমিফাইনাল পর্যন্তই, একই নামে দলটির নামের পাশে জুটেছে চোকার্স তকমাও। তবে এবার এই অপবাদ থেকে মুক্তি পেল এইডেন মার্করামের দল।
সাতবার সেমি ফাইনালে হারের পর অবশেষে এবার ফাইনালের টিকিট করতে স্ফলতা দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। একপেশে সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে মার্করামের দল।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আফগানদের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের ফাইনালে ওঠার লড়াই বেশ জমে ওঠবে এমন ধারণা করেছিলেন অনেকেই। তবে তা হয়নি। বরং একপেশে এক ম্যাচই উপহার দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান, এরপরই শুরু হয় তাদের দুঃস্বপ্ন।
বল হাতে আজ প্রথম ওভার থেকেই দাপট দেখিয়েছেন প্রোটিয়া বোলাররা। ম্যাচের প্রথম ওভারেই আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ফেরান মার্কো ইয়ানসেন। এরপর একে একে বল হাতে তোপ দেগেছেন তাব্রাইজ শামসি, নরকিয়া এবং কাগিসো রাবাদা। প্রোটিয়া বোলারদের দাপটে কোনো আফগান ব্যাটারই আজ থিতু হতে পারেননি। আফগানদের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ১০ রান করেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, বাকি সব ব্যাটারই আউট হয়েছেন এক অঙ্কেই। শেষ পর্যন্ত ১১.৫ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ৫৬ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও শুরুতেই হারিয়েছিল এক উইকেট। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন কুইন্টন ডি কক। তবে ডি কক ফিরলেও তা প্রোটিয়াদের জন্য কোনো বাধাই হয়নি। আরেক ওপেনার রেজা হ্যানড্রিক্সকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান অধিনায়ক এইডেন মার্করাম, সেই সঙ্গে প্রথমবার ফাইনালেও পা রাখল প্রোটিয়ারা।
১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭, ২০০৯, ২০১৪, ২০১৫, ২০২৩- আইসিসি মঞ্চে সাতবার সেমিফাইনালের স্বপ্ন ভঙ্গের পর অবশেষে ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হলো প্রোটিয়াদের।