স্বেচ্ছাব্রতী নাগরিক সংগঠন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম এর ১৮৩ তম মাসিক সভা গত ৩ জুলাই ২০২১ শনিবার বিকাল ৪ টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। ফোরাম এর চেয়ারম্যান এস এম আজাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালনা করেন সদস্য সচিব রুহি দাস। অনলাইন জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদৃত ও ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মসয়ূদ মান্নান,এনডিসি, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব আতাউর রহমান মিটন, ফোরাম এর সাবেক চেয়ারম্যান মহিদুল হক খান, সাংগঠনিক সচিব মাশুক শাহী, আসমা আক্তার, মোস্তারি বেগম, সুজিদ দাস, এডভোকেট আলেয়া বেগম লাকী , পান্না হাসান, শফিউল আলম টুটুল, বশির উদ্দিন চন্দন ও মুনির ই মুস্তফাসহ আরো অনেকেই যুক্ত ছিলেন।
মুক্তিযু্দ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হোক ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে এই স্লোগানে ২০০৫ সাল থেকে প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম পলিসি, অ্যাডভোকেসি ও গণজাগরণে কাজ করে যাচ্ছে। আসন্ন ডিসেম্বর , ২০২১ এ মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে। সেই উপলক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেয়ার তোড়তোড় শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ফোরাম এর মিটিংগুলো নিয়মিত অনলাইনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফোরাম এর ১৮৩ তম মাসিক সভায় মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপন প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা প্রসঙ্গে অনলাইনে যুক্ত সকলেই কথা বলেন
মসয়ূদ মান্নান এনডিসি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপন কমিটি এই মাসের (জুলাই ২০২১) মধ্যেই সম্পুন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে ঈদের ছুটিগুলো কাজে লাগিয়ে আমরা অনলাইনে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজটি শেষ করব। সেই সাথে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের জন্য একটি সম্পাদনা পরিষদ গঠন করে সেটিরও পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে হবে। স্মারকগ্রন্থের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর বাণীর জন্য যোগাযোগ করতে হবে।
আমাদেরকে একটি ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করতে হবে। সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা কাদেরকে সম্মানিত বা পুরস্কৃত করব , তাদের নামের একটি তালিকা তৈরি করতে। সুবর্ণজয়ন্তীর প্রোগ্রামটি একদিনের নাকি দুই দিনের হবে সেটিও আমাদের এখন থেকেই পরিকল্পনায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা হয়তবা দেশের সব জায়গায় অনুষ্ঠানটি করতে পারব না তবে, দেশের বড় বড় শহরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রোগ্রাম হাতে নেয়া যায় কিনা সেটিও ভাবতে হবে। প্রতি মাসে যে আমাদের একটি মিটিং চলছে সেটি আপাতত অব্যাহত থাক, তবে ঈদের পরে আমাদের প্রতি মাসে দুটি করে মিটিং করা যায় কিনা সেটি পরিকল্পনায় নিয়ে আসতে হবে।
রুহি দাস বলেন, ফোরাম এর যে অনলাইন সেমিনারগুলো হয় সেগুলো আমাদের স্মারকগ্রন্থে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিতে হবে। আতাউর রহমান মিটন বলেন, কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতিতে আমাদেরকে প্রকাশনার ওপরে গুরুত্ব দিতে হবে। ফোরাম এর কাজগুলোকে আরো গতিশীল করার জন্য একজন পেইড ভলান্টিয়ার নেয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব করেন। এছাড়াও ১ লাখ সদস্য সংগ্রহ এবং মিটিংগুলোতে সদস্য সংখ্যা যাতে বাড়ানো যায় সেই বিষয়ে অনেকেই মতামত প্রকাশ করেন। স্থানীয় কমিটির সদস্যদের সাথে জাতীয় কমিটির সদস্যদের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য অনেকেই মত প্রকাশ করেন।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার ফোরাম এর কার্যনির্বাহী সদস্য মুস্তারি বেগম এর খালা খাদিজা বেগম পর্ণার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এব প্রয়াত খাদিজা বেগমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এছাড়াও কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে যারা ইহলোক ত্যাগ করেছেন প্রত্যেকের বিদেহী আত্মার জন্য মাগফেরাত কামনা করা হয়। পরিশেষে সংগঠনের চেয়ারম্যান এস এম আজাদ হোসেন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ১৮৩ তম সভার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।