প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদ্য সাবেক সদস্য ড. শামসুল আলম। তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাচ্ছেন। বঙ্গভবনে রবিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শামসুল আলমকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
করোনা সংক্রমণের কারণে এই শপথ অনুষ্ঠান হয় সীমিত পরিসরে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিব ইহসানুল কবির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও শপথ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আইনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রী সভার আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দায়িত্ব নেওয়ার আগের দিন শনিবার (১৭ জুলাই) দেশের কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
সে সময় তিনি বলেন, ‘প্রকল্প ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা এবং দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করব। আর গত ১২ বছরে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে যে গতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে সেটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, দেশের বাজেটের ৪০ শতাংশই উন্নয়ন বাজেট। এর মাধ্যমেই আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন হয়ে থাকে। সেখানে আমরা অবশ্যই চাইব প্রকল্প ত্বরান্বিত করে তা বাস্তবায়নের জন্য।’
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন এই শিক্ষকতা পেশা থেকে সরকারের আমলাতন্ত্রে আসা পরিকল্পনাবিদ। শতবর্ষের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাগ্রহণে অন্যতম কুশীলব তিনি। দায়িত্বপালনের মধ্য দিয়ে তিনি আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। একজন সৎ ও দায়িত্বশীল আমলা হিসেবে তার সুপরিচিত রয়েছে।
ড.সামসুল আলম ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সেখানে দীর্ঘ ৩৫ বছর অধ্যাপনা করার পর প্রেষণে ছুটি নিয়ে ২০০৯ সালের ১ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। এরপর এই কমিশনেই কেটে যায় ১২ বছর।
সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা পান এবং কমিশনের অন্যতম উন্নয়ন কুশীলব হিসেবে দরিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র সংশোধন ও পূর্ণ বিন্যাস, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পা, জাতীয টেকস্ই উন্নয়ন কৌশলপত্র, শতবর্ষের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাসহ নানা পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যা দেশেকে উন্নয়নের মহাসড়কে তুলে এনেছে।
অর্থনীতি পরিকল্পনায় এই অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পান একুশে পদক। এবার সরকার তাকে মন্ত্রিসভায় ডেকে নিলো একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে।