শনিবার (৬ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে সরকারের উচিৎ হবে অবিলম্বে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। সবকিছু রাজনৈতিক বিবেচনায় না করে, ঘটনার দায় এড়ানোর জন্য একে অপরের কাঁধে দোষ চাপনোর চেষ্টা না করে দেশ ও জাতির স্বার্থে সঠিক তদন্ত করাই এখন সময়ের দাবি।
নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার ও বিরোধী দলের প্রতিহিংসামূলক কর্মকান্ডের কারণে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার দায় সরকার বা বিরোধীদল কেউ এড়াতে পারে না। সাময়িক ব্যক্তিস্বার্থে দেশ ও জাতির বিশ্বাস ধ্বংস করে দিয়ে রাজনীতিবিদরা নিজেদের হাস্যকর বস্তুতে পরিণত করছেন। যার ফলে দেশের রাজনীতি আজ আমলা আর ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাচ্ছে। যাল ফল কারও জন্যই শুভ হবে না, হতে পারে না।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ভস্মীভূত মানুষগুলো রাজনীতি বোঝেনি, রাজনীতির কারণেই তাদেরকে বের হতে হয় নাই। বের হতে হয়েছে জীবন-জীবিকার তাগিদে। রাজনীতিবিদ ও এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার সাথে জড়িতদের নিজেদের বৌ, বাচ্চা, বাবা, মা, ভাই, বোনসহ দেশবাসীর কথা বিবেকের বিবেচনায় আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, এদের কেউ হয়তো চিকিৎসা বা ভ্রমণ শেষে তারা নিজ দেশে নিজ ঘরে ফিরছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপন ঠিকানায় তাদের পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। অপেক্ষায় ছিলেন আপনজনেরা। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা ট্রেনের জানালা থেকে মুখ বের করে বাঁচার শেষ আকুতি মানুষটির। কোনো মায়ের কলিজার টুকরো সন্তান, কারো স্বামী, কারো পিতা হয়তো বা কারো বাবা।
তারা বলেন, কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৭৯ সালে লিখেছিলেন, ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’। সে ছিল ভিন্ন সময়, ভিন্ন প্রেক্ষাপট। এখনও বাতাসে লাশের গন্ধ পাওয়া যায়, অন্য কোনো প্রেক্ষাপটে। তিনি লিখেছিলেন, ‘ঘুম আসে না’। এখনও স্বজনহারা অনেকেরই ঘুম আসে না।