দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিকী ও প্রাকনির্বাচনী পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। মাধ্যমিক স্কুলের বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পেছানো হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী— ৭ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা ও প্রাকনির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১০ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে বিষয়টি জানিয়ে সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ৭ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির অর্ধবার্ষিকী, মূল্যায়ন পরীক্ষা ও প্রাকনির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির অর্ধবার্ষিকী মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুতিমূলক শ্রেণি কার্যক্রম ও অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে এসএসসি পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী যেসব বিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ে ৩১ মে পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিটি বিষয়ের যোগ্যতার মূল্যায়ন প্রচলিত পেপার-পেন্সিল পরীক্ষার মাধ্যমে সম্ভব নয়।
এতে বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের জন্য নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট, প্রকল্পভিত্তিক কাজ, অনুসন্ধানমূলক কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে মূল্যায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত গাইডলাইন এনসিটিবি থেকে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষার্থী মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুযায়ী পাঁচ কর্মদিবস প্রস্তুতিমূলক শ্রেণি কার্যক্রম ও ১০টি বিষয়ের জন্য ১০ কর্মদিবস অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজন। এ পরিপ্রেক্ষিতে অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের জন্য প্রস্তুতিমূলক শ্রেণি কার্যক্রম ও অর্ধবার্ষিক মূল্যায়ন বা পরীক্ষা ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা এ সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য বলা হলো।