বরগুনার পাথরঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জেরে সহিদ ওরফে পিলার সহিদ (৫৫) নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ।
শনিবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানী ২ নম্বর ওয়ার্ড চল্লিশঘর নামক এলাকায় তার নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।রোববার (৭ জুলাই) সকালে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সহিদ পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদুয়ানী ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাহার আলীর ছেলে।
গ্রেফতাররা হলেন— দক্ষিণ চরদুয়ানী ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত সিদ্দিক বিশ্বাসের ছেলে মো. নাসির বিশ্বাস, মো. লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে মো. রাসেল হাওলাদার, লাল মিয়ার ছেলে হারুন হাওলাদার, আফজাল মল্লিকের ছেলে রিমন মল্লিক, খলিলুর রহমানের ছেলে নাজমুল, মৃত আর রশিদের ছেলে খলিলুর রহমান এবং দক্ষিন চরদুয়ানী ২ নম্বর ওয়ার্ডের সগির হাওলাদারের ছেলে মো. সুমন।
জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তার বাড়ির সামনে কে বা কারা তাকে কুপিয়ে জখম করে রেখে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনে। ৩ ঘণ্টা পরে রাত সোয়া ১টার দিকে তিনি মারা যায়।
নিহত শহিদের স্ত্রী আমেনা বেগম জানান, রাত ১০টার দিকে জ্ঞানপাড়ার বান্দাঘাটা এলাকায় মহাজন বনি আমিনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাড়িতে আসার পথে মন্নান বিশ্বাসের ছেলে নাসির বিশ্বাস (৩৫), জাকির বিশ্বাসের ছেলে রুবেল বিশ্বাস (২৫), নুরু মল্লিকের ছেলে আব্বাস মল্লিকসহ (৪০) ৫/৬ জন তাকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাত দেড়টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন জানান, মৃত্যুর আগেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শহীদ মামলা করেছিলেন। বর্তমানে মামলা চলমান আছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহিদুল ইসলামের মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে পাথরঘাটা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত লোমহর্ষক। আমি খবর পেয়ে ঢাকা থেকে পাথরঘাটার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি। এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য থানা পুলিশকে বলেছি