সিসি টিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়েছে পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। ইকবাল হোসেন কুমিল্লা মহানগরীর সুজানগর এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে। তাকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ইউনিট কাজ করছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতে দেখা যাচ্ছে এক যুবক মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ নিয়ে রাস্তার দিকে আসছে। কিছুক্ষণ পর (প্রায় এক ঘণ্টা পর) দেখলাম তার হাতে কোরআন শরিফ নেই। হনুমান ঠাকুরের গদা হাতে নিয়ে তিনি ঘোরাঘুরি করছেন।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের ডিআইও-১ মো. মনির আহমেদ বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় নানুয়ার দিঘির উত্তর-পূর্বদিকে সড়কে রাত সোয়া ৩টার দিকে এক যুবক হনুমান ঠাকুরের গদা হাতে নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন। ওই যুবককে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি যে মণ্ডপে কোরআন শরিফ রেখেছেন সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিশ্চিত হয়েছে। তাকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
ঘটনার রাতের দুটি সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৩ অক্টোবর রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মসজিদ থেকে ওই যুবক কোরআন শরিফ হাতে নিয়ে বের হয়ে আসছেন। এরপর রাত ২টা ১১ মিনিটে তিনি মসজিদ থেকে মূল সড়কে উঠে মন্দিরের দিকে হেঁটে যান।
কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন থানায় আট মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়ে। এরমধ্যে কোতোয়ালী মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি ও দাউদকান্দি থানায় একটি মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঁদপুর, চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় উপাসনালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। চাঁদপুরে পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
