হাইওয়ে পুলিশের থানাসহ দেশের ৬৬০ থানায় একযোগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করবে বাংলাদেশ পুলিশ। সেখানে স্মরণ করা হবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। শুক্রবার (৫ মার্চ) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এ তথ্য জানান।
আইজিপি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তি ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের দিনটিতে দেশব্যাপী আনন্দ উদযাপন করবে পুলিশ। দিনটি দেশের ৬৬০টি থানায় বিকাল ৩টায় একযোগে উদযাপন করা হবে। দেশের সব থানার বাইরে আলোচনা সভা, প্রীতিভোজের আয়োজন ও মিষ্টি বিতরণ করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই অনুষ্ঠানে যোগ দেবে। অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রশাসনসহ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুপারিশ পায় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বৈঠক শেষে এ সুপারিশ করেছে। তবে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে বের হতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণত উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে যেসব দেশ তুলনামূলক দুর্বল, সেসব দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৭১ সালে প্রথম স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে পাঁচ বছর পর এলডিসি থেকে বের হয়ে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাতারে চলে যাবে বাংলাদেশ।
আইজিপি বলেন, ‘২০০৮ সালের পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন এসেছে। দারিদ্র্য অনেক কমেছে, এখন মিউজিয়ামে যাওয়ার উপক্রম। আগে সবাই বলতো ইলেক্ট্রিসিটি কবে আসবে, এখন বলে কবে যাবে। দেশের এসব উন্নয়নকেই উদযাপন করবে পুলিশ।’ ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবরে ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এ ভাষণটিসহ মোট ৭৭ টি গুরুত্বপূর্ণ নথিকে একইসঙ্গে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো এ দিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করা হবে।