পটুয়াখালীর বাউফলে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিচার পাওয়ার আশা নিয়ে থানায় এসেছে একটি ঘোড়া। ডিউটি অফিসার ঘোড়াটিকে চিকিৎসা দেওয়ার পর সে আপনমনে ফিরে যায়। শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘোড়াটির মালিক খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুপুর সোয়া ১টায় একটি ঘোড়া থানার মূল গেট দিয়ে প্রবেশ করে। পাঁচটি ধাপের সিঁড়ি বেয়ে মূল ভবনের ভেতরে ঢোকার সময় সামনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা ঘোড়াটিকে বাধা দেন। একপর্যায়ে বাধা উপেক্ষা করে ডিউটি অফিসারের কক্ষের সামনে এসে দাঁড়ায় ঘোড়াটি। কর্তব্যরত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা একাধিকবার তাড়ানোর চেষ্টা করলেও ঘোড়াটিকে ডিউটি অফিসারের মূল ফটকের কাছ থেকে সরাতে ব্যর্থ হন।
থানার ডিউটি কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক আশিকুর রহমান বলেন, ঘোড়াটি তাড়ানোর চেষ্টা করেও যখন সরছে না, তখন লক্ষ্য করলাম ঘোড়ার পেছনের বাম পা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুনকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘোড়াটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দেন।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত মো. আব্দুস সবুর বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশ পেয়ে বাউফল উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের চিকিৎসককে থানায় নিয়ে আসি। চিকিৎসক আব্দুল আজিজ বলেন, ক্ষত দেখে মনে হয়েছে ধারালো কোনো কিছুর আঘাত লেগেছে, যার কারণে পায়ের চামড়া উঠে মাংসে ক্ষত হয়েছে। ঘোড়াটির ক্ষতস্থান ড্রেসিং করে ব্যথানাশক ইনজেকশনসহ বিভিন্ন ওষুধ লাগিয়ে দিলে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, ড্রেসিংয়ের সময় ঘোড়াটি শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, একটি ঘোড়া আহত হয়ে থানায় এসেছে চিকিৎসা সেবা নিতে, যা আমাদের পুলিশ সদস্যদের মুগ্ধ করেছে। এমন ঘটনা আমার কাছে বিরল মনে হয়েছে। ঘোড়াটিকে যথাযথ সেবা দিতে পেরে আমাদের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।