এতে প্রশ্ন উঠছে, পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারীরা তাকে শনাক্ত করতে পারলে পুলিশ কেন তাকে ধরতে পারছে না? এই বিষয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী বলেছেন, “তিনি একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি, এবং আমরা তাকে গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছি।”
অন্যদিকে, শিরীন শারমিনের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে। তার নতুন সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চলছিল। ৩ অক্টোবর তিনি ও তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করেন এবং ১০ অক্টোবর তাদের আঙুলের ছাপ ও আইরিশ ছবি নেওয়ার কথা ছিল। তবে অভিযোগ উঠেছে— তারা বাড়িতে বসেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, শিরীন শারমিন অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এছাড়া, পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফিরোজ সরকার বলেন, “এটি আমার এখতিয়ারের বাইরে।” তবে তিনি জানান, বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তাদের দায়িত্ব এবং তারা এর বিষয়ে জানাবেন।
পাসপোর্ট অধিদফতরের (ডিআইপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিরীন শারমিনের বর্তমানে কোনো সচল পাসপোর্ট নেই। তার কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করা হয়েছে এবং তিনি ১.৫ মাস আগে কূটনৈতিক পাসপোর্ট জমা দিয়ে সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। তবে তার নতুন পাসপোর্ট এখনও ইস্যু হয়নি এবং আবেদন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।