ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পুলিশের ছোড়া গুলিতে আইয়ুব নূর (৫০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাফসহ আরিফ নূরকে ছিনিয়ে নেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহত আইয়ুব নূর ওই এলাকার মন্তু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। এদিকে আইয়ুব নূরের ছেলে আরিফ নূরও একজন মাদক ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, আদমপুর গ্রামের আইয়ুব নূরের পরিবারের প্রায় সবাই মাদক ব্যবসায়ী। এর মধ্যে আইয়ুব নূরের নামে ৫টি, তার দুই ছেলে আরিফ নূরের নামে ৫টি, তোফাজ্জলের নামে ১০টি পুলিশের উপর হামলা ও মাদক মামলা রয়েছে। আরিফ নূরের বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাঈদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আরিফকে গ্রেপ্তার করতে যায়। আরিফকে গ্রেপ্তারের পর নিয়ে আসার সময় তার পরিবারের সদস্যরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে পুলিশকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পুলিশের ওপর হামলা করে হ্যান্ডকাফসহ আরিফকে ছিনিয়ে যায়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষায় রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হন আইয়ুব নূর, সালমা বেগম ও ইমন নামের এক কিশোর।
গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা জেলা সদর হাসপাতালে আসলে তাদের ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় নেওয়া হলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান আইয়ুব নূর। অপর দিকে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এরমধ্যে তুষার নামে একজন কনস্টেবল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।