মাগুরায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়ি থেকে এডিসি লাবনী আক্তারের ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া একই দিন মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের (২৩) গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনা দুটির তথ্য নিশ্চিত করেছেন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান।
তিনি জানান, রাতে ডিউটি থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন মাহমুদুল হাসান। মাহমুদুল হাসানের বাড়ি কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায়। তিনি দেড় মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরায় আসেন।
অন্যদিকে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসেন খুলনা মেট্রোপলিটনের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ কমিশনার লাবনী আক্তার। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তার গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
খুলনা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এস এম ফজলুল হক বলেন, লাবনী ছুটিতে ছিলেন। এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। লাশ দুটির ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বদলির আগে কনস্টেবল মাহমুদুল খুলনায় কর্মরত ছিলেন। সেখানে তিনি নিহত পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার লাবণীর দেহরক্ষী ছিলেন। দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত খন্দকার লাবণীর বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বরালিদহ গ্রামে। তাঁর স্বামী তারেক আবদুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন ভারতে চিকিৎসাধীন আছেন।