মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে সরেজমিন মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা দেখতে পান, পুরো থানা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। থানা ভবনের কয়েকটি রুম থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। থানা প্রাঙ্গণে দেখা যায় পুড়ে যাওয়া বেশ কিছু গাড়ি, আসবাবপত্র।
থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা সোমবারই নিরাপত্তা সংকটের কারণে থানা ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
মোহাম্মদপুর থানায় একজন এসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, থানার ভেতরে থাকা ‘সকল অস্ত্র এবং গোলাবারুদ লুট হয়ে গেছে। তবে হাজতখানায় যেসব আসামি ছিল সোমবার সকালের মধ্যেই তাদের আদালতে পাঠিয়ে দেওয়ায় কোনো আসামির ক্ষতি হয়নি।’
নিকটস্থ আদাবর থানাতেও ব্যাপক লুটপাট হয়েছে। থানার সামনে রাখা যানবাহন, মোটরসাইকেল এবং থানার ভেতরের জিনিসপত্র সোমবার রাতেই লুট হয়ে গেছে বলে জানা যায়। এই থানাতেও কোনো পুলিশ সদস্য দেখা যায়নি।
এছাড়া খিলগাঁও, কদমতলী, উত্তরা পূর্ব, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, লালবাগসহ বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা সোমবার সরে যান। এসব থানায় একের পর এক হামলার মুখে নিরাপত্তার কারণে থানা ভবন ত্যাগ করার নির্দেশনা আসে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির একটি থানায় কর্মরত কর্মকর্তা।
বংশাল, বাড্ডাসহ কোনো কোনো থানার পুলিশ সদস্যরা সোমবার রাতে থানা ত্যাগ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে আশ্রয় নেন। এসময় কোথাও কোথাও হামলার মুখে গুলি ছুড়তে দেখেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন বংশালের কয়েকজন বাসিন্দা।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে, রাজারবাগের পুলিশ লাইনসে সাইরেন বাজতে দেখা গেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, ঢাকার ৫০টি থানার অধিকাংশই পুলিশবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। -বিবিসি বাংলা