হাইকোর্ট বলেছে, পুলিশ বিভাগকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, মানুষের জীবন হচ্ছে খুবই মূল্যবান সম্পদ। কোনো ব্যক্তিকে রিমান্ডে নেওয়ার আগে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রথমেই আইন দেখতে হবে ও রিমান্ডে নেওয়ার ভিত্তি আছে কি না তা চিন্তা করতে হবে। বুধবার চিত্রনায়িকা পরীমণির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের বৈধতা নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চের লিখিত আদেশে এ কথা বলা হয়েছে।
আদালত বলেন, সর্বোচ্চ বিশ্বাস থেকে এটা বলা দরকার যে, পুলিশ বিভাগে সমাজের বিনিয়োগ আছে, যাতে একজন দক্ষ ও আইনের প্রতি বাধ্যগত উচ্চমান সম্পন্ন পুলিশ কর্মকর্তা গড়ে ওঠে। একজন তদন্ত কর্মকর্তার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া গাইডলাইন অস্বীকার করা বা তার প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করার সুযোগ নেই।
হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন? প্রথম চারদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আইওর কাছে এমন কি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল যে তাকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে নিতে হবে? আদালত বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা চাইলো আর তাতেই কিভাবে সংবিধান ও দেশের অন্যান্য আইন লঙ্ঘন করে দ্বিতীয় ও তৃতীয়দফা রিমান্ড মঞ্জুর করে দিলেন মহানগর হাকিম এটা বুঝে আসে না। পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার সিডি নিয়ে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।