ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহের পর প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক বৈঠকে যোগ দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে যার যার পক্ষে সুর চড়িয়েছেন পুতিন, শি জিনপিং ও নরেন্দ্র মোদিরা।
ভার্চুয়াল এই বৈঠকে যোগ দিয়ে পুতিন বলেন, তিনি পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে যাবেন। তার দাবি, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়া আরও শক্তিশালী হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এসসিওর দেশগুলোর সঙ্গে তাদের দেশের মুদ্রায় বাণিজ্য করার ফলে নিষেধাজ্ঞার ধার কমে গেছে।
রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখার জন্য এসসিও দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানান পুতিন।
অপরদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দাদাগিরি ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করার ফলে বিশ্ব এখন অনেক বেশি ন্যায়সঙ্গত হয়েছে। বিশ্বে সব দেশের জন্য সমানাধিকার, সমান সুযোগ এবং ন্যায়সঙ্গত নিয়মকানুন প্রয়োজন।’
ভারত এবার এসসিওর চেয়ারম্যান। বৈঠকে পাকিস্তানের নাম না করে মোদি বলেন, ‘কিছু দেশ তো সীমান্তপারের সন্ত্রাসকে তাদের নীতি হিসাবে নেয়। এসসিওর উচিত এই ধরনের দেশের সমালোচনা করা।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় দিচ্ছে। সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘স্পষ্ট ও দ্বিধাহীনভাবে সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করতে হবে। কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা যাবে না। এসসিও দেশগুলো তাদের অঞ্চলে শান্তি ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে।’
শরিফ বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ হলো বহু মাথাওয়ালা দানব। সর্বশক্তি দিয়ে তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। কূটনৈতিক লাভের জন্য সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ তোলার লোভ ছাড়তে হবে। নিজের দেশে একা ও দেশের বাইরে সম্মিলিতভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।’
বৈঠকে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কিরঘিজস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের শীর্ষনেতারা ছিলেন। এছাড়া পর্যবেক্ষক দেশ হিসাবে ছিল ইরান, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া।