রোববার (৯ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, বিগত সময়ে দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান বিধি বহির্ভূতভাবে গ্রাহকের আমানত বা বিনিয়োগ সংগ্রহ, রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান এবং অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদানের নামে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে (যেমন: যুবক, ডেসটিনি ইত্যাদি)। এছাড়া, অস্বাভাবিক মূল্যছাড়/ডিসকাউন্টে বিভিন্ন ই-কমার্সে পণ্য বিক্রির নামে জনগণকে প্রতারণার নজির রয়েছে (যেমন: ইভ্যালি)।
এই ধরনের অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদান এবং রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান করা পিরামিড বা পঞ্জি স্কিমের বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের (এমএলএম) অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ও গ্রাহকের বিনিয়োগ হারানোর নজির রয়েছে। এসব প্রতারণামূলক ব্যবসায় লাভ হতে মুনাফা না দিয়ে একদল গ্রাহকের বিনিয়োগের অর্থ হতে আরেক দল গ্রাহককে তথাকথিত মুনাফা প্রদান করা হয়। এ ধরনের প্রতারণা মানিলন্ডারিংয়ের আওতাভুক্ত অপরাধ বিধায় অতীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স ব্যতীত আমানত সংগ্রহ তথা ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা বাংলাদেশ ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৩১(১) এর প্রদত্ত নির্দেশনার লঙ্ঘন।
সাম্প্রতিক একই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হওয়ায় তা বর্তমানে অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে। এমতাবস্থায়, গ্রাহক স্বার্থ সুরক্ষা বিবেচনায় দেশের জনসাধারণকে এই প্রকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে লেনদেন করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত ও বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানের সংবাদ জানা থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে জনগণ ও গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।