ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণবিক অস্ত্রধর একটি দেশের সহযোগিতা নিয়ে পরমাণু শক্তিধর নয় এমন কোনো দেশের হামলাকে ‘যৌথ হামলা’ বলে ধরা হবে। এর ফলে দুই দেশই রাশিযার পারমাণবিক হামলার বৈধ লক্ষবস্তুতে পরিনত হবে। খবর তাসের।
তিনি বুধবার রাতে দেয়া এক বক্তৃতার মাধ্যমে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতি ও পূর্বশর্ত পরিবর্তন করলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র না থাকলেও আমেরিকাসহ অন্য পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো মস্কোবিরোধী যুদ্ধে কিয়েভকে সহযোগিতা করছে।
ইউক্রেন এখনও পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত করার অনুমতি পায়নি। তবে এরকম অনুমতি প্রার্থনা করে আমরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ধর্না দিচ্ছে।
জাতিসংঘের অধিবেশ চলাকালে নিউইয়র্ক সফর করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে তার সিরিজ বৈঠকের পর কিয়েভ শিগগিরই এমন অনুমতি পেয়ে যেতে পারে বলে ব্যাপকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এরকম অবস্থায় প্রেসিডেন্ট পুতিন তার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার রাতে মস্কোয় আরো বলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান ও ড্রোন হামলা শুরু হলে তাকে ‘মারাত্মক হুমকি’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।তখন মস্কোর পক্ষ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, রাশিয়ার জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিশ্চয়তা হচ্ছে এদেশের পারমাণবিক অস্ত্র।