রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা হরতাল-অবরোধে নাশকতা রুখতে ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মহানগর এলাকার তেলের পাম্পগুলো এখন থেকে খোলা তেল বিক্রি বন্ধ রাখবে। তবে বাড়ি, ফ্যাক্টরি বা প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র লাগবে। তেল বিক্রির তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের খাতায় লেখা থাকবে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এসব তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপি থেকে দেওয়া ১০টি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-
১. পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সবধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।
২. সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
৪. নিজ নিজ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
৫. প্রত্যেক পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন।
৬. সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।
৭. পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।
৮. রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সবধরনের যানবাহন পেট্রোল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।
৯. লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখা। তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।
১০. পেট্রোলিয়াম বিধিমালা ২০১৮ এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।