বরগুনার পাথরঘাটায় খালের পাড়ে মাটি খুঁড়ে মা ও মেয়ে শিশুর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর এলাকায় শনিবার (৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, সুমাইয়া ও তার নয় মাসের মেয়ে সামিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাথরঘাটা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন সরকার। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার পর হাত-পা বেঁধে গর্ত খুঁড়ে পুতে রেখেছিলেন ওই গ্রামের শাহিন মুন্সী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে শাহিন ও সুমাইয়ার মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। বিয়ের আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং বিয়ের আগেই সুমাইয়ার সন্তান জন্ম নেয়। এরপর স্থানীয়দের শালিস বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ছোট খাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে লাকতো।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে সুমাইয়া বাবার বাড়িতে তাদের স্বপরিবারে দাওয়াত ছিল। কিন্তু সুমাইয়া দাওয়াত খেতে গেলেও শাহিন সেখানে যাননি। দুপুরে দাওয়াত থেকে সুমাইয়া বাড়ি ফেরার পর থেকেই তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থানা পুলিশকে জানালে তারাও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেয়। এরপর থেকেই শাহিন পলাতক। তার মোবাইলও বন্ধ।
শনিবার (৩ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা শাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত-পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এবিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার জানান, সুমাইয়ার নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর আমরা বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান করেও তার কোন খোঁজ পাইনি। শনিবার সকালে স্থানীয়রা সুমাইয়ার স্বামী শাহিনের বাড়ির পাশে একটি নতুন গর্ত দেখে থানায় খবর দেয়। এরপর সেখানে গর্ত খুঁড়ে দড়িতে হাত-পা বেঁধে ভাঁজ করা অবস্থায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় সুমাইয়ার শ্বাশুড়ি, নানী শ্বাশুড়ি ও মামাত দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। শাহীনকেও আটকের চেষ্টা চলছে।