বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ের ভুলের সংশোধনী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
সম্প্রতি এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকের তথ্যে ভুল পরিলক্ষিত হয়। ওই ভুলের সংশোধনী এনসিটিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানানো ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি নবম শ্রেণির তিনটি বিষয়ের বইয়ে নয়টি অংশের সংশোধনী দেয় এনসিটিবি। এর মধ্যে আছে- বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ে চারটি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে তিনটি, পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ে দুটি অংশ।
সংশোধনীতে বলা হয়, নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ১৮১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মেতে উঠে।’ প্রকৃতপক্ষে হবে— ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ জুড়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী নির্যাতন, গণহত্যা আর ধ্বংসলীলায় মেতে উঠে।’
দুইশ নম্বর পৃষ্ঠায় দেওয়া হয়েছে- ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। প্রকৃতপক্ষে হবে- ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। একই বইয়ের ২০২ ও ২০৩ নম্বর পৃষ্ঠার ভুলের বিষয়েও সংশোধনী দেওয়া হয়।
নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ছয় পৃষ্ঠায় দেওয়া হয়েছে, ‘৫৪ সালের নির্বাচনে চারটি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।’ প্রকৃতপক্ষে হবে- ‘৫৪ সালের নির্বাচনে পাঁচটি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়।’ এছাড়া একই বইয়ের ১৬ ও ২৮ নম্বর পৃষ্ঠাও সংশোধন করা হয়েছে। একই শ্রেণির পৌরনীতি ও নাগরিকতা বইয়ের ৫৭ ও ৫৯ পৃষ্ঠার সংশোধনী দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।