মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মানিত শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষানুরাগী, সবার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের বইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। উল্লেখ্য যে, বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় আমরা শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা অবহিতকরণের সনির্বন্ধ অনুরোধ করেছিলাম। আপনারা আমাদের সে আহ্বানে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, আপনাদের এই তাৎপর্যপূর্ণ মতামত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে আমাদের বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ণ করে সংশোধনীগুলো অতিদ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে। যারা আমাদের নানা তথ্য, উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প নিয়ে বিতর্ক, নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের মানচিত্রে ফিলিস্তিনকে বাদ দিয়ে ইসরাইলের নাম ব্যবহার করা, নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ে কোচিংয়ের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি কপি করে বসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে সরকার প্রণীত নতুন পাঠ্যবইয়ে।