বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ নিয়ে এখনো আলোচনা থামছে না। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে অনেক দিন থেকেই। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কিছু আনুষ্ঠানিকতার বাধ্যবাধকতা থাকায় এটি মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে এখনও সিনেমাটি বাংলাদেশেও মুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে দেশের প্রেক্ষাগৃহে উপমহাদেশীয় ভাষার সিনেমা ‘পাঠান’ প্রদর্শন করতে না দিলে যেকোনো সময় সিনেমা হল বন্ধের ঘোষণা আসতে পারে।
এ প্রসঙ্গে আজ (৪ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতারা। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে হল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, “আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা আর পারছি না। উপমহাদেশের সিনেমা না এলে হল বাঁচানো সম্ভব হবে না। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনে লিখিত আবেদনের সুবাদে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সবুজসংকেত পাওয়া গেলেও এখনও পাওয়া যায়নি লিখিত অনুমোদন। তাই হলগুলোতে ‘পাঠান’ মুক্তি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।”
বিভিন্ন হতাশার মধ্যে সিনেমা হল বন্ধের নির্দেশ আসতে পারে বলে দাবি করেন এই হল মালিক নেতা। তিনি মৌখিক সম্মতি পাওয়ার পরও কেন ‘পাঠান’সহ উপমহাদেশের সিনেমা আসছে না সেই প্রশ্নও তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে লায়ন সিনেমাসের মির্জা আবদুল খালেক এ প্রসঙ্গে বলেন, “সরকার হয়তো চাচ্ছে না আমরা সিনেমা হল পরিচালনা করি। যদি চাইতো তাহলে আমাদের দিকে কিছুটা হলেও মনোযোগ দিত। আমাদের অবস্থা খুব একটা ভালো না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পথে বসে যেতে হবে। গত ১০ মাসে আমাদের হলে ৪০টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এসব সিনেমা মোট ৫৩ হাজার দর্শক হলে আনতে পেরেছে। তার মধ্যে ‘হাওয়া’ ও ‘পরাণ’ দেখেছে ৩৬ হাজার দর্শক। অন্য সিনেমাগুলোর অবস্থা খারাপ।”
মির্জা আবদুল খালেক আরও বলেন, গতকাল একটা সরকারি অনুদানের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেটি মাত্র ১২ জন দর্শক দেখেছে। এমনভাবে চলতে থাকলে কীভাবে হবে?
সংবাদ সম্মেলনে হল মালিকরা সরকারের আন্তরিক দৃষ্টি কামনা করেন। তারা আশা করছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল বিষয়টি সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।