পানি না থাকায় পাটগ্রাম নদীগুলোর বুক জুড়ে চলছে ইরি-বোরো ধানের চাষ। আর নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠছে বসতবাড়িসহ নানা স্থাপনা। পাটগ্রাম উপজেলা হয়ে বয়ে চলা নদীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিস্তা, সানিয়াজান, ধরলা, শিংগীমারী, শংলী ও চেনাকাটা নদী। নদীগুলোতে প্রয়োজনীয় পানি প্রবাহ না থাকায় নদী অংশের এক-তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে বালু আর চর পড়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বালু কেটে সরিয়ে সমান্তরাল করে চলছে ধান ও ভুট্টার চাষাবাদ।
পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী এলাকা ভরাট করে চলছে দখল। দহগ্রাম ইউনিয়ন হয়ে তিস্তা ও সানিয়াজান, বাউরা ইউনিয়ন হয়ে সানিয়াজান, বুড়িমারী, শ্রীরামপুর, জোংড়া ইউনিয়ন ও পাটগ্রাম পৌরসভা হয়ে ধরলা নদী, জগতবেড় ইউনিয়ন হয়ে চেনাকাটা নদী এবং কুচলিবাড়ী, পাটগ্রাম ইউনিয়ন হয়ে বয়ে চলেছে শংলী ও শিংগীমারী নদী। নাব্য হারিয়ে এসব নদীর অবস্থা বর্তমানে মরা খাল বা একেকটি নালা। খরস্রোতা এক সময়ের এসব নদীর বুক জুড়ে চলছে ইরি-বোরো ধানের চাষ।
জেলা পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, নদী যারা অবৈধভাবে দখল করেছে এ ধরনের ১১৩টি উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। সম্প্রতিও অনেক জায়গায় যারা বাঁধ বা নদীর তীর দখল করে আছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নতুন তথ্য পেলে ব্যবস্হা নেব।