পাটকল বন্ধ করে সরকার সংবিধানে লাথি মেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ’বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অতীত ও বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন ওয়ার্কার্স পার্টি।
শ্রমিক আন্দোলনের কিংবদন্তি ও পুরোধা নেতৃত্ব কমরেড আবুল বাশার, কমরেড শাফিকুর রহমান মজুমদার, কমরেড নাসিম আলী, কমরেড এটিএম নিজামুদ্দিন, কমরেড হাফিজুর রহমান ভূইয়া ও কমরেড শফিউদ্দিন আহমেদ স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে রাশেদ খান মেনন বলেন, পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাট চাষি ও শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পাট চাষিরা এখন পাট বিক্রি করতে পারছে না। অনেক পাট চাষি আত্মহত্যা করেছে। এর মাধ্যমে সরকার কেবল পাট চাষি-শ্রমিকদের পেটে লাথি মারেনি, সরকার সংবিধানেও লাথি মেরেছে, সংবিধানকে ধ্বংস করেছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে এ যে মন্দা চলছে, সেটি নিয়ে আমরা কথা বলছি। প্রতি মুহূর্তে দুর্ভিক্ষের কথা স্মরণ করছি। অর্থনৈতিক সংকট, ডলার সংকট, রেমিট্যান্স সংকট- সব সংকট হচ্ছে। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রার জন্য আমরা কার উপর ভরসা করছি? আমাদের গার্মেন্টস শ্রমিক, প্রবাসী শ্রমিকদের উপর। আর সেই শ্রমিকদের মজুরি দিবো না, তাদের কথা শুনবো না, তাদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেবো না, তাদের সংগঠিত হতে দেবো না। তাহলে তো মন্দা দূর হবে না।
তরুণদের কৃষক, শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সামনে খুব কঠিন দিন। ওই মোবাইলে বসে ফেসবুক চালালে এ সংকট নিরসন করা যাবে না। মোবাইলে বসে সাম্প্রদায়িক প্রচারগুলো শুনে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। আজকে মাঠে শ্রমিকের পাশে, কৃষকের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে।
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল আহসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় মূলপত্র উপস্থাপন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড শরীফ শমশির। এ ছাড়া সভায় আলোচক ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।