বৈঠকে সৌদি প্রতিমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক প্রস্তাবনার আলোকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত সব বিরোধ শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের ওপর জোর দেন এবং উত্তেজনা প্রশমনের জন্য উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
সৌদি প্রতিমন্ত্রীর এই সফর এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত। অপারেশন সিঁদুরের পর উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি হামলা ও ড্রোন ভূপাতিত করার অভিযোগ এনেছে। এই পরিস্থিতিতে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে শান্তির এই আহ্বান তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে শুক্রবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, পাকিস্তান এবং আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন শহরে বিনা উসকানিতে ভারতীয় হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৬২ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ভারতের সামরিক কর্মকর্তা কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান ও পাঞ্জাবের ৩৬টি শহরসহ আশপাশের এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোনের মধ্যে ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী ৫০টি ভূপাতিত করেছে। এ ছাড়া ২০টি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি জ্যামিংয়ের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

সোফিয়া কুরেশি মনে করেন, বেশিরভাগ ড্রোন নিরস্ত্র ছিল। সম্ভবত ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করার চেষ্টা করছিল পাকিস্তান। তবে অনেক ড্রোনে ক্যামেরা লাগানো ছিল, যা পাকিস্তানের গ্রাউন্ড স্টেশনে ফুটেজ পাঠাতে পারত।
‘শত শত ড্রোনের এই হামলা যুদ্ধবিরতি চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখাজুড়ে (এলওসি) ছোট অস্ত্রের গুলি ও কামানের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে, যাতে একজন সেনা সদস্যসহ ১৬ জন ভারতীয় নিহত হয়েছেন।