চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে এশিয়া কাপ। এশিয়ান দেশগুলোর এই টুর্নামেন্টে এবার আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু তাদের মাটিতে ভারতের অংশ নিতে না চাওয়ায় তা নিয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছে। দুই দেশের পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের পর এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়েই তৈরি হয়েছে শঙ্কা। পিসিবি চেয়েছিল ভারতের ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেখে বাকি ম্যাচগুলো নিজেদের মাঠে আয়োজন করতে। তবে এমন ভ্রমণ সূচিতে রাজি নয় বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ভারতীয় ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো এই তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মে) দুবাইয়ে বৈঠকে বসেছিল দেশ দুটির প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেই মিটিংয়ের পর দুই দেশের পক্ষ থেকেই সম্পূর্ণ দাবি উঠেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বলছে, তাদের দেওয়া প্রস্তাবে সম্মতি দিয়ে মেইল করেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। দেশ দুটি পাকিস্তানে খেলতে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে।
কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যমের মতে, পাকিস্তানের দেওয়া প্রস্তাবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা সায় দেয়নি। ফলে ভারতের প্রস্তাবই এতে জয়ী হয়েছে! কারণ দেশটি চায়, নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে পুরো আসরের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কাতেই আয়োজন করা হোক। যা নিয়ে পাকিস্তান বাদে বাংলাদেশসহ বাকি দেশগুলো তাদের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত।
এর আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। সেজন্য তারা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে (সংযুক্ত আরব আমিরাতে) তাদের ম্যাচগুলো আয়োজনের হাইব্রিড মডেল দাঁড় করায়। পরবর্তীতে সেই সমস্যা থেকে উত্তরণে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রস্তাব দেয় ভিন্ন রাস্তার।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘আমরা এসিসিকে লিখিত দিয়েছি যে এই হাইব্রিড মডেলের বিপক্ষে আমরা। কিন্তু এর বাইরে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বছরের ওই সময়টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রচন্ড গরম।’
এর আগে এশিয়া কাপের আয়োজন থেকে তাদের বঞ্চিত করা হলে ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপ বয়কটের হুমকি দিয়েছিল পাকিস্তান। এমনকি এশিয়া কাপ নিজেদের মাটিতে না হলে পাকিস্তান সরে দাঁড়াতে পারে সেই টুর্নামেন্ট থেকেও। তবে বিসিসিআইকে আরেকটি নতুন শর্ত দিচ্ছে পিসিবি। আগামী ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে পাকিস্তান। বোর্ড প্রধান নাজাম শেঠী জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত খেলতে আসবে, এই মর্মে লিখিত আশ্বাস যদি বিসিসিআই সচিব জয় শাহ না দেন, তাহলে ভারতে আসন্ন বিশ্বকাপ খেলতে আসবেন না বাবর আজমরা।
এ নিয়ে বেশকিছু সময় ধরেই কথার লড়াই চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। তবে এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে দুই দেশের বোর্ডকে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে সবকিছু মীমাংসা না হলে, শেষ পর্যন্ত বাতিল হতে পারে এবারের এশিয়া কাপ!