সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের পর আরও বেশি গোলে জয় না পাওয়ার আক্ষেপ ছিল বাংলাদেশ শিবিরে। যে কারণে পরের দিন বিশ্রামের ঘোষণা দিয়েও সেখান থেকে সরে আসে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট। তাদের মতে আরও বড় ব্যবধানে জয় পাওয়া উচিত ছিল।
কারণ চ্যাম্পিয়নশিপের এ-গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। বি-গ্রুপে আছে স্বাগতিক নেপাল, শ্রীলংকা ও ভূটান। ভারত নিজে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে ৩-০ গোলে। মালদ্বীপের বিপক্ষে একই ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। আরও বেশি গোল দিতে পারলে গোল ব্যবধানে ভারতের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারতো বাংলাদেশের মেয়েরা।
প্রথম ম্যাচের আক্ষেপটা পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে পুষিয়ে নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। এজন্য আগামীকাল ম্যাচে যথাসম্ভব বেশি গোলে জেতার আশার কথাও বলেছেন তারা। তবে আপাতত এসব নিয়ে ভাবতে চাচ্ছেন না বাংলাদেশের মেয়েরা। কালকের ম্যাচে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চান বাংলাদেশ দলের দুই ফুটবলার সানজিদা খাতুন ও সিরাত জাহান স্বপ্না।
কাঠমুন্ডুর আর্মড পুলিশ ফোর্স মাঠে দলীয় অনুশীলন শেষে সানজিদা বলেন, ‘আজকের ম্যাচে অবশ্যই ভালো কিছু করার ইচ্ছা থাকবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বয়স ভিত্তিক ম্যাচে যে সফলতা আমি পেয়েছি, সেই ধারাবাহিকতা রাখার চেষ্টা করবো। যেহেতু বয়স ভিত্তিক ম্যাচে আমি ভালো করতে পেরেছি, কালকের ম্যাচটি সিনিয়র পর্যায়ের হলেও ভালো করার চেষ্টা করবো। আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান মোটামুটি ভালো খেলেছে। আক্রমণেও যেতে দেখেছি। মালদ্বীপের বিপক্ষে আমরা গোলের অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছিলাম, কাজে লাগাতে পারলে ব্যবধান আরও বাড়তো। আজকের ম্যাচে ফিনিশিংয়ে আমাদের আরও ভালো করতে হবে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজও করেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমরা কোনো প্রতিপক্ষকে সহজ মনে করি না। প্রতিপক্ষ সবসময়ই কঠিন হবে, সেটি মাথায় নিয়েই আমরা মাঠে নামি।’ সিরাত জাহান স্বপ্না বলেন, ‘পাকিস্তান আগের যে ম্যাচটি খেলেছে সেটি আমরা দেখেছি এবং সেটি দেখেই প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রথম ম্যাচটিতে আমাদের লক্ষ্য ছিল জয়লাভ করা। সেটিতে আমরা জয়লাভ করেছি। এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে আমরা গোল করার চেষ্টা করবো। মূলত আমরা স্বাভাবিক যে খেলাটা খেলে থাকি সেটাই খেলবো।’
প্রথম ম্যাচে গোল করতে না পারায় আক্ষেপ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে আমার কাজ হলো বলের যোগান দিয়ে গোল করানো। ওই ম্যাচে আমি সাবিনাকে দিয়ে একটি গোল করিয়েছি। সেটাতেই আমি খুশি। পাকিস্তানের বিপক্ষেও গোল করানোর চেষ্টা থাকবে। সেইসঙ্গে সুযোগ পেলে চেষ্টা থাকবে গোল করার।’