গাজীপুরে মহিলা, শিশু ও কিশোরী নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যাওয়া ১৪ কিশোরীর সাতজনকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে বাকিদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকালে তিনি বলেন, ‘বুধবার (২৪ মার্চ) গভীর রাতে ওই কেন্দ্র থেকে ১৪ জন কিশোরী পালিয়ে যায়। পরে জয়দেবপুর জংশন থেকে সাতজনকে আটক করা গেলেও বাকিদের এখনো আটক করা যায়নি। তবে তাদের আটকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের স্টোর কিপার আব্দুর রহমান মোল্লা বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে বাসন থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি। এদিকে আবাসন কেন্দ্র থেকে কিশোরী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ছায়েদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত কমিটিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক মনোয়ারা ইসরাতকে প্রধান, ওই আবাসন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ফরিদা খানম, উপ-সচিব জগদীশ দেবনাথ, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম ও গাজীপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহনাজ আক্তারকে সদস্য করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালে ৯ সেপ্টেম্বর ওই কেন্দ্র থেকে একই কায়দায় ১৭ জন হেফাজতী পালিয়ে যান। পরে অভিযান চালিয়ে ওই দিনই ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় গাজীপুর জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছিল।