জানুয়ারির পর নির্বাহী আাদেশে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের বিদ্যুতের দাম ফের বাড়ানো হয়েছে, যা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সমন্বয়-২ অধিশাখা থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ও পাইকারিতে আট শতাংশ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৪ বছরে ১২তমবারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল বিদ্যুতের দাম। এছাড়া ১৪ বছরে এটি ছিল ১১তম দফায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি।
প্রজ্ঞাপনে গৃহস্থালির খুচরা বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে ৪ টাকা ১৪ পয়সা করা হয়েছে। সাধারণ গ্রাহকের ক্ষেত্রে ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪টাকা ৬২ পয়সা করা হয়েছে। ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩১ পয়সা, ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা করা হয়েছে।
এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ৬ টাকা ৩৪ পয়সা থেকে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ পর্যন্ত ইউনিট ১০ টাকা ৪৪ পয়সা থেকে ২০ টাকা ৯৬ পয়সা এবং ষষ্ঠ ধাপে ৬০০ ইউনিটের ঊর্ধ্বে ১২ টাকা ৩ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৩৬ পয়সা করা হয়েছে।
এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ টাকা ১০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত নভেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল বিইআরসি। এটি ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়।
এরপর ডিসেম্বর থেকেই খুচরা দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা। ৮ জানুয়ারি এসব আবেদন নিয়ে শুনানি করে বিইআরসি। এরপর ১২ জানুয়ারি খুচরা পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে গড়ে ৫ শতাংশ দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, যা ওই মাসের বিল থেকেই কার্যকর করা হয়েছিল।
আবার দাম বাড়ানো নিয়ে গতকাল বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক মাসেই গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার কথা আমরা আগেই বলেছিলাম। আগামী মাসে বিদ্যুতের দাম আরেকবার সমন্বয় করতে হবে। আমাদের আর ভর্তুকি দেওয়ার সুযোগ নেই। এখন এভাবে সমন্বয়ের মধ্য দিয়েই যেতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের পরদিন নতুন করে পাইকারি ও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা এলো।
দাম বাড়ানোর ক্ষমতা নিজেদের হাতে নিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন সংশোধন করে গত ১ ডিসেম্বর অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। এরপর জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো সরকার ওই ক্ষমতার প্রয়োগ করে।